কক্সবাজার, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

কমেছে ডিমের দাম

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসেরই দাম বেড়েছে। তবে কমেছে ডিমের দাম। ডিমের উৎপাদন আগের মতোই, কিন্তু চাহিদা কমে যাওয়া দাম কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, যখন করোনা সংক্রমণের কবর আসা শুরু হয়, তখন মানুষ বেশি করে ডিম কিনে রেখেছেন। যে কারণে এখন চাহিদা কম। আর এ কারণেই ডিমের দাম কমে গেছে।

রাজধানীর গোপীবাগ এলাকার ডিম ব্যবসায়ী রাজু বলেন, গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি ডজনে ডিমের দাম কমেছে থেকে ২০ টাকারও বেশি। আগে প্রতি ডজন ১০০ টাকা বিক্রি করতাম। এখন ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ডজন বিক্রি করছি।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসেবে গত এক মাসে ডিমের দাম কমেছে ১৫ শতাংশের মতো। টিসিবি বলছে, এক মাস আগে এক হালি (৪টি) ডিমের দাম ছিল ৩৪ টাকা। এখন সেই ডিমের দাম ২৪ টাকায় নেমে এসেছে।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারের তথ্য বলছে, ডিমের দাম কমলেও চাল, ডাল, সয়াবিন তেল, পেয়াঁজ, আটা, শুকনা মরিচ, আদা, রসুন, অ্যাংকর-ছোলা ও মুগ ডালের দাম বাড়ছে।
বাজার ও মানভেদে অ্যাংকর ডালের কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ৪০ টাকা। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫ টাকা কেজি। আর মুগ ডালের দাম বেড়ে হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। গত সপ্তাহে ১৩০ টাকাতে এক কেজি মুগ ডাল পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও অনেকেই রোজা কেন্দ্রিক কেনাকাটা শুরু করেছেন। এ কারণে ছোলা ও অ্যাংকর ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে রোজা সামনে রেখে পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। বাজার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহেও এই পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় পাওয়া যেতো। তবে সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে। এছাড়া করলা ৪০-৫০ টাকায়, বরবটি ৪০-৫০, শসা ২০-৩০, পেঁপে ৩০-৪০, পাকা টমেটো ২০-৪০, শিম ২০-৪০, গাজর ২০-৩০, মুলা ১৫-২০, বেগুন ২০-৪০ ও পটল ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির মতোই অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে মাছের দাম। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা কেজি দরে। পাকিস্তানি কক মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকায়। গরুর গোস্ত বিক্রি হয়েছে ৫৮০-৬০০ টাকায় এবং খাসির মাংসের কেজি ৮০০-৯৫০ টাকা।

পাঠকের মতামত: